সর্বশেষ সংবাদ
মাদারল্যান্ড নিউজ ডেস্ক: ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি-র কাছে লিটারপ্রতি গরুর দুধের দাম ৪০ হাজার রুপি দাবি করেছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৭ হাজার ৪৭৩ টাকা। দেশি গরুর দুধে ‘সোনা’ থাকে; বিজেপি-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এ দাম দাবি করে তৃণমূল। দলটি বলছে, দুধে সোনা থাকলে সোনার দামেই দুধ কিনুক বিজেপি নেতারা!এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় উপহাসের খোরাক হয়েছে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের ওই বক্তব্য। এরমধ্যেই শুক্রবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার শ্রীরামপুর রেল স্টেশনে গরু নিয়ে হাজির হন তৃণমূল সমর্থকরা। প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থীকে নিয়ে সেখানে অবস্থান নেন তৃণমূল নেতা সন্তোষ কুমার সিং। সেখানেই সোনার দরে দুধ কেনার জন্য বিজেপি কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
তৃণমূলের দাবি, গরুর দুধ প্রতি লিটার ৪০ রুপি করে বিক্রি করা হয়। অথচ এখন সোনার ভরি ৪০ হাজার রুপি। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন, গরুর দুধে সোনা আছে! তাই তার দলের কর্মীদের এই দুধ কিনতে হবে সোনার দরে। আর এই দামে দুধ বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ করতে চায় কলেজ ছাত্র থেকে শুরু করে ভারতের বেকার যুবকরা।
সত্যিই দুধে সোনা থাকলে বিজেপি সেই দুধ কিনুক; এমন পোস্টারও প্রচার করছে তৃণমূল সমর্থকরা। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে গোয়ালা সাজিয়েও ছাপানো হয়েছে ব্যানার।কর্মসূচির নেতৃত্বে থাকা তৃণমূল নেতা সন্তোষ কুমার সিং বলেন, ‘দেশে চাকরি নেই। উল্টো কেন্দ্রীয় সরকার লোক ছাঁটাই করছে। অর্থনীতি ধুঁকছে। দিলীপ বাবু এই সমস্যা সমাধানের উপায় বাতলেছেন। তার কথা অনুযায়ী, গরুর দুধে যেহেতু সোনা আছে, তাই আমরা এই কর্মসূচি নিয়েছি। সোনার তুলনায় দুধের দাম কমই রেখেছিলাম। কিন্তু একটা খদ্দেরও পেলাম না।’
নানা ব্যঙ্গ বিদ্রুপের মধ্যেও এখনও নিজের বক্তব্যে অনড় রয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। শুক্রবারও গরুর দুধে সোনা থাকার দাবি সঠিক বলে দাবি করেছেন দিলীপ। টেলিফোনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার এমন দাবি করেন তিনি। দিলীপ ঘোষের দাবি, বিদেশি গবেষণার ওপর ভিত্তি করেই তিনি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। আর এ নিয়ে যারা তাকে বিদ্রুপ করছে তাদের উচিত পাল্টা গবেষণার মাধ্যমে তাকে ভুল প্রমাণ করা।
এদিকে গরু নিয়ে সোনা জামানত রেখে ঋণ দেওয়া একটি সংস্থার কার্যালয়ে হাজির হয়েছেন এক ভারতীয় কৃষক। পশ্চিমবঙ্গের হুগলির চণ্ডীতলার গরলগাছা এলাকার ওই সংস্থায় গিয়ে তিনি দাবি করেছেন, ‘গরু নিন, ঋণ দিন’। পেশায় কৃষক সুশান্ত মণ্ডল একটি মাঝারি আকারের গরু ও একটি বাছুর নিয়ে হাজির হন ওই ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কার্যালয়ে। দাবি করেন, এই গরু আর বাছুর জমা রেখে তাকে ঋণ দিতে হবে। তিনি ব্যবসা বাড়াবেন। ২০টি গরুর মালিক সুশান্ত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই দিলীপ ঘোষের কথা শুনেছি। উনি বলেছেন গরুর কুঁজে স্বর্ণনাড়ি আছে। তাতে সূর্যের আলো পড়লেই সোনা বেরোবে। তাই আমি গিয়েছিলাম। ঋণ পেলে ব্যবসা বাড়ানোর ইচ্ছে ছিল। কিন্তু ওরা নিতেই চাইলো না।’
ঋণ সংস্থার কার্যালয় থেকে বেরিয়ে ওই কৃষক সোজা চলে যান স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে। দাবি করেন, ব্যবস্থা করে দেওয়ার। পঞ্চায়েত প্রধান মনোজ সিং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দিলীপ ঘোষের ওই কথার পর তাকে এ রকম একাধিক ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। বেশ কয়েকজন তার কাছে গরু বন্ধক রেখে ঋণ পাওয়ার ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর দেশি গরুর দুধে ‘সোনা’ থাকে বলে মন্তব্য করেন বিজেপি-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বর্ধমানের টাউন হলে ‘ঘোষ এবং গাভীকল্যাণ সমিতি’র এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন দাবি করেন। তার ভাষায়, ‘গরুর দুধে সোনার অংশ থাকে। তাই দুধের রঙ হলুদ হয়।’ তার ব্যাখ্যা, ‘দেশি গরুর কুঁজের মধ্যে স্বর্ণনালি থাকে। সূর্যের আলো পড়লে, সেখান থেকে সোনা তৈরি হয়।’ এদিন বিদেশি গরু নিয়েও কথা বলেন দিলীপ। তার ভাষায়, ‘বিদেশ থেকে যে গরু আনা হয়, তা হাম্বা আওয়াজ করে না। আর যে হাম্বা ডাকে না, সে গরুই নয়। গোমাতা নয়, ওটা আন্টি। আন্টির পুজো করে দেশের কল্যাণ হবে না।’ পুষতে হলে দেশি গরু পুষুন। ঘুরবে-ফিরবে, খড়-কুটো খাবে আর দুধ দেবে। অসুখ-বিসুখও হয় না।
এর আগে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি মন্ত্রী রেখা আর্য দাবি করেছিলেন, ‘গরুই একমাত্র পশু, যে শ্বাস গ্রহণের সময় শুধু অক্সিজেন গ্রহণ করে না, প্রশ্বাসের সঙ্গে তা পরিবেশে ফিরিয়েও দেয়।’ বিজেপি দলীয় এমপি সাধ্বী প্রজ্ঞা-ও দাবি করেছিলেন, তিনি স্তনের ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। গোমূত্র পান করে আর পঞ্চগব্য গ্রহণ করে নিজেকে সারিয়ে তুলেছেন। সূত্র: জি নিউজ, আনন্দবাজার।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মাহবুব আলম জুয়েল
(প্রতিনিধি, এশিয়ান টেলিভিশন)
সহ- প্রকাশক: এমদাদুল হক মন্ডল
সহ- সম্পাদক: আশরাফুল ইসলাম রনজু
নির্বাহী সম্পাদক: সাহিন সরকার রনজু
সহ বার্তা সম্পাদক: হাফিজুর রহমান কিয়াস
উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ :
(১) অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম (২) প্রভাষক রাকিবুল সরকার পাপুল (৩) প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ (৪) ডাক্তার মিজানুর রহমান (৫) সহকারি শিক্ষক আব্দুল বারী
আইন উপদেষ্টা: এ্যাডভোকেট রায়হান কবির (সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর, রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালত)
-: যোগাযোগ :-
তানোর অফিস: রাফি কম্পিউটার্স, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে, মুন্ডুমালা রোড, তানোর, রাজশাহী।
রাজশাহী অফিস: মা কম্পিউটার, লোকনাথ স্কুল মার্কেট, হেতেমখাঁ, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
ফোন: ০১৭১১-২৭০৪৩৩, ০১৫১৭-০৬৩১১৭
Email: mnewsbd24.2018@gmail.com
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া সকল ধরনের সংবাদ সারা বিশ্বে প্রচারে আমাদের তথ্য দিন।
আপনার প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে পরিচিত করতে বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।